PRAFULLA CHANDRA ROY: THE ALCHEMY OF NATION-BUILDING

Prafulla Chandra Roy: The Alchemy of Nation-Building

Prafulla Chandra Roy: The Alchemy of Nation-Building

Blog Article

প্রফুল্ল চন্দ্র রায়


প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (১৮৬১-১৯৪৯) ছিলেন একজন ভারতীয় রসায়নবিদ, শিক্ষাবিদ এবং দাতা, যিনি ভারতে রসায়ন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও ছিলেন।


প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা


রায় ১৮৬১ সালে ভারতের বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, রাজা হরনাথ রায়, ছিলেন একজন জমিদার (জমিদার)। রায় তার প্রাথমিক শিক্ষা বাড়িতে পেয়েছিলেন এবং পরে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপরে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন, যেখান থেকে তিনি ১৮৮০ সালে রসায়নে ডিগ্রি অর্জন করেন।


কর্মজীবন


স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর রায় ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তবে, তিনি শীঘ্রই তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং রসায়নের প্রতি তার আগ্রহ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ইংল্যান্ডে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যান, যেখান থেকে তিনি ১৮৮৬ সালে রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।


ভারতে ফিরে এসে প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষকদলে যোগ দেন। তিনি অনেক বছর ধরে সেখানে রসায়ন পড়িয়েছেন এবং কলেজে রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯২৪ সালে ভারতীয় রাসায়নিক সমিতিও প্রতিষ্ঠা করেন এবং অনেক বছর ধরে এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।


রায় ছিলেন একজন ফলপ্রসূ গবেষক এবং রসায়নের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রাকৃতিক পণ্য, বিশেষ করে অ্যালকালয়েডের রসায়ন বিষয়ে তার কাজের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ইন্ডিগো সংশ্লেষণের একটি নতুন পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছিলেন, যা সেই সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জক ছিল।


পরোপকার


রায় একজন দাতাও ছিলেন এবং তার সম্পদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন শিক্ষা ও দাতব্য কাজে দান করেছিলেন। তিনি কলকাতায় বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান চাষাবাদ সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন, একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ভারতে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।


ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন


রায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও ছিলেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং আন্দোলনের অন্যান্য নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি আন্দোলনের অনেক বড় ঘটনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সহযোগিতা আন্দোলন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলন সহ।


রায় শিক্ষা ও গবেষণায় ভারতীয় ভাষা ব্যবহারের জন্যও একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ভারতীয় ভাষা ব্যবহার ভারতে বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে প্রচার করতে সহায়তা করবে।


পরে জীবন এবং উত্তরাধিকার


রায় ১৯৩৬ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন তবে বিজ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকেন। তিনি ১৯৪৯ সালে মারা যান।


রায় তার সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী রসায়নবিদ এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি রসায়ন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং ভারতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণায় ভারতীয় ভাষা ব্যবহারের জন্যও একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন।


রায়ের উত্তরাধিকার আজও ভারতের বিজ্ঞানী এবং শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা জাগায়। তাকে একজন দূরদর্শী হিসাবে স্মরণ করা হয় যিনি ভারতে আধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করতে সহায়তা করেছিলেন।


তথ্যসূত্র




উপসংহার


প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ছিলেন একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব যিনি রসায়ন, শিক্ষা এবং ভারতীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি একজন দূরদর্শী ছিলেন যিনি ভারতে আধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করতে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকার আজও ভারতের বিজ্ঞানী এবং শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা জাগায়।

Report this page